By
Megamind
আসসালামু আলাইকুম ট্রেডার ভাই, বোন, বন্ধু , নাবালক, সাবালক, মুরুব্বি এবং পুরুষ নামধারি মহিলা ইউজারগন, “রাঙ্গা মামা আদর্শ ট্রেডিং সঙ্ঘ” এর পক্ষ হইতে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং লিবার্টি যাহাদের রিজার্ভ করিয়া দিয়াছে তাহাদের জন্য রইল গভীর সমবেদনা এবং একটি রাঙ্গা মামা বচন –
“করিলে রিজার্ভ Liberty,
কপালে আসিবে Poverty”
কিঞ্চিত বিলম্ব করিয়া রাঙ্গা মামার মহান বানীসমূহ লইয়া আবারও হাজির হইয়াছি ।
আসুন এই কালজয়ী মহাপুরুষের স্মরনে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলি,আকাশে বাতাসে প্রতিদ্ধনিত হোক জয়গান-
“Mt4 এর টার্মিনালে
মামা তুমি আছো মিশে
মামা তোমার ভয় নাই
আমরা ট্রেডিং ছাড়ি নাই
তোমার আমার ঠিকানা
রাঙ্গা মামার আস্তানা
মামা তুমি এগিয়ে চলো
আমরা আছি তোমার সাথে
জয় রাঙ্গা মামা.........”
(বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত শ্লোগানসমূহ দেখিয়া অনৈতিক,রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক ধারনা পোষণ করিবেন না )।
সূচনায় জাতির বিবেকের কাছে একটি প্রশ্নঃ
প্রফেশনাল ট্রেডার কাহাকে বলে? সংগাসহ ও উদাহরন ব্যাতীত আলোচনা কর এবং বৈশিষ্টসহ আম-মুদ্রাব্যাবসায়ী সমাজে তাহাদের ভুমিকা ব্যাখ্যা কর।
অনাহুত এক বিবেকের উত্তরঃ
দিগ্বীজয়ী মহাপুরূষ রাঙ্গা মামা “ট্রেডার” এর সংগাস্বরূপ উল্লেখ করিয়াছেন-
“ট্রেডারগণ সামাজিক জীব। তাহারা স্কাইপ এবং ফোরামসমূহের মাদ্ধ্যমে সমাজবদ্ধ হইয়া বসবাস করেন এবং কার্ল মার্কস এর বানী দেখিবার বদলে কার্ল ডিটম্যান এর মেইলবাণী পড়িতে পড়িতে সময় আতিবাহিত করেন”
প্রফেশনাল ট্রেডারগণ এই সমাজেই বসবাস করেন। রাঙ্গা মামা বলেছেন,
“মুদ্রাবাণিজ্যে পরিপক্ক হইয়া যেসকল ব্যবসায়ীগণ সফলতার ট্রেন্ডলাইনে পুলব্যাক করিয়াছেন , শত প্রতিকুলতার মাঝেও যাহাদের চাপার রেজিস্ট্যান্স বজায় থাকে এবং নিজ একাউন্ট ব্যতীত এক বা একাধিক একাউন্টে আধিভৌতিক সাপোর্ট প্রদান করিয়া থাকেন তাহাদিগকে প্রফেশনাল ট্রেডার বলা হয়। অনির্দিষ্টকাল অতিবাহিত করিবার পর তাহারা হারামিসহ বিভিন্ন প্যাটার্ণ ধারণ করিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে অদৃশ্য জীবনযাপন করিয়া থাকেন। ”
উহাদের বিস্তৃতি এবং প্রভাব ট্রেডার সমাজে অপরিসীম। সাধারনত ফেসবুক, স্কাইপ এবং চ্যাটবাক্সে উহাদের বিচরন পরিলক্ষিত হয় ।
কলিযূগের কিশোর এবং যুবকগণ (ইয়ো ইয়ো জেনারেশন) তাহাদিগকে - জোস ট্রেডার, জাক্কাস ট্রেডার,সেরাম ট্রেডার, বিরাট ট্রেডার, মাম্মা ট্রেডার,চুম্মা ট্রেডার ইত্যাদি নামসমূহ দ্বারাও আক্ষ্যায়িত করিয়া থাকেন।
নবাগত ফরেক্সারগন তাহাদিগকে পিপাবতার হিসাবে মর্যাদা প্রদান করিয়া থাকেন এবং পিপবর লাভের আশায় তাহাদের পিপলিংগে ক্রমাগত তৈলভক্তি অর্পণ করিয়া থাকেন।
সাধারনত ৩ খানা প্রশ্নের মাদ্ধ্যমে ট্রেডারগন একজন প্রফেশনাল ট্রেডার এর মানদন্ড নির্ধারন করিয়া থাকেন-
১. বড়ভাই কতদিন ধরিয়া ট্রেডিং করেন?
২. বস আপনার মাসিক ইনকাম কত?
৩.স্যার আপনি কোন সিস্টেম অনুযায়ী ট্রেড করেন?
রুপে গুনে আতুলনীয় না হইয়াও ট্রেডিং গুন সম্পন্ন একজন প্রফেশনাল ট্রেডার এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয়-
১.উনারা বিরাট মার্কেট জ্ঞানের অধিকারি হইয়া থাকেন যদিও আমাদের এই দেশে একজনও স্বীকৃত সনদপ্রাপ্ত ট্রেডার পরিলক্ষিত হয় নাই। এই অসাধারন বাজার-জ্ঞান ধারণ বিধায় আম-মুদ্রাব্যাবসায়ীগণ তাহাদিগকে “মাল” হিসাবেও আখ্যায়িত করে থাকেন।
২.মাত্র ৩ মাসেই একজন আম-মুদ্রাব্যাবসায়ী পরিপক্ক হইয়া উন্নত জাতের অধিক ফলনশীল প্রফেশনাল ট্রেডার এ পরিনত হইয়া থাকেন।
৩.নিজকর্ম ব্যাহত করিয়া তাহারা অসহায় এবং দুঃস্থ ব্যাবসায়ীদিগকে ফরেক্স শিখাইবার লক্ষে দিবারাত্রি অক্লান্ত পরিস্রম ও সময় ব্যয় করিয়া থাকেন । বৈদেশিক প্রবন্ধসমূহের বাংলা ভাষানুবাদ তাহাদের একমাত্র ব্রত । যদিও উক্ত জ্ঞান তাহারা নিজ নিজ বাণিজ্যে প্রয়োগ করিয়া কতখানি সফল হইয়াছেন তাহার তথ্যসমূহ অত্যন্ত গোপনীয়তার সহিত সংরক্ষণ করা হইয়া থাকে।
৪.উনারা মুদ্রাবাজারে আইক্কাওয়ালা মোমকাঠি পরিদর্শন করিয়া বেচাকেনার সংকেত প্রদান করেন । কার্যকর না হইলে একাধিক সংকেত প্রদানের মাধ্যমে একখানা লাভজনক ট্রেড বাহির করিয়া থাকেন। অতঃপর তাহা লইয়া ফেসবুকে বিরাট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হইয়া থাকে।
৫.“ওরে নবীণ, ওরে আমার কাঁচা, আধমরাদের ঘাঁ মেরে তুই বাঁচা” এই সংকল্প বক্ষে ধারন করিয়া তাহারা সপরিবারে দুঃস্থ ট্রেডারদের ন্যায্যমুল্যে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী (স্ট্র্যাটেজী,রোবট,সিডি) সরবরাহ করিয়া থাকেন। রবিঠাকুর বর্ণীত এই ঘাঁ প্রদানকল্পে অনেক বাংলাদেশি নবদম্পতি অগ্রবর্তী ভুমিকা পালন করিয়াছেন এবং একাধিক বিজ্ঞাপন মাধ্যমে তাহা ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করিয়াছে।
৬,সুদূর সাইবেরিয়া,উগান্ডা, আন্দামান দীপপুঞ্জ, উরুগুয়ে ইত্যাদি রাষ্ট্র হইতে ট্রেডিং পদ্ধতি আমদানি করিয়া এবং উহা মুদ্রাবাণিজ্যে সফলভাবে প্রয়োগ করিবার জন্য উহাদের বিশেষ খ্যাতি রইয়াছে।
৭, একমাত্র এই শ্রেণীর আশীর্বাদে মুদ্রাবাণিজ্য শায়েস্তা খার শাসনামলের চালবাণিজ্যের পর্যায়ে উপণীত হইয়াছে বিধায় তাহারা একখানা ট্রেড বসাইয়া ৮% লভ্যাংশ পাইয়া থাকেন।
একথা অনস্বীকার্য যে বর্তমান মুদ্রাবাণিজ্যের এই ঊষালগ্নে উন্নত মস্তিস্কধারী প্রফেশনাল ট্রেডারগণ পিপবর্তিকা হাতে পিপহারা বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর পিপসমৃদ্ধ জাতি হিসাবে গঠন করিবার বিষদ কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছেন । তাই উহাদের সাথে তালে তাল মিলাইয়া সকলেই ব্রয়লার পিপগোষ্ঠী গঠনের প্রত্যাশা বক্ষে ধারন করে স্লোগানে মুখরিত হই-
“পিপে পিপে ভরব দেশ
গড়ব সোনার বাংলাদেশ”