মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো-পাউন্ড রিকভারের চেষ্টা
আজ বুধবার পাউন্ড এবং ইউরো আগের দিনের থেকে বেশিরভাগ প্রফিট অর্জনে চেষ্টা করছে। চীনে লকডাউন শিথিলতার প্রত্যাশা মার্কিন ডলারকে কিছুটা দুর্বল করছে। আজকের সেশনে EURUSD পেয়ার ১.০৫০ প্রাইসের কাছাকাছি মুভমেন্ট করছে। যা এ সপ্তাহের সর্বোচ্চ প্রাইস।
EURUSD পেয়ার রাতারাতি ১.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসের পরবর্তীতে পেয়ারটি একদিনে সর্বোচ্চ বেড়েছে। অপরদিকে GBPUSD পেয়ারের প্রাইস গতকাল বেড়ে ১.২৫০০ প্রাইসে উঠলেও বর্তমানে ১.২৪৮০ এর কাছাছি মুভমেন্ট করছে। ব্রিটিশ বেকারত্বের হার ৪৮ বছরের সর্বনিন্মে নেমেছে।
এদিকে ব্রিটিশ মুদ্রাস্ফীতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে, এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি ৯% বেড়েছে। যা ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকের পরবর্তীতে সর্বোচ্চ। তবে এপ্রিলে প্রত্যাশিত ৯.১%-এর তুলনায় কম ছিল।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গর্ভনর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান অবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মার্কিন ডলার দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিন্ম প্রাইসে মুভমেন্ট করছে। গতকাল ব্রিটিশ বেকারত্ব রিপোর্ট বৃদ্ধির ফলে পাউন্ড আপট্রেন্ডে আসতে শুরু করেছে।
কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার কারেন্সি বিশেষজ্ঞ বলেন: চীন থেকে লকডাউন সংক্রান্ত কিছু ইতিবাচক নিউজ এবং শক্তিশালী ডেটার ফলে মার্কিন ডলার কিছুটা ডাউনট্রেন্ডে আসবে। চীনের সাংহাইতে টানা চতুর্থ দিন করোনা সংক্রামণ ধরা পরেনি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ১ জুন সাংহাই লকডাউন শিথিল করতে পারে।
ফরেক্স এবং কিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং শিখতে বিডিপিপসের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্কাইব করুন
0 Comments
Recommended Comments
There are no comments to display.