মার্কিন ডলার দুই দশকের সর্বোচ্চে
মার্কিন CPI প্রত্যাশার থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভের আক্রমনাত্মক নীতি অর্থাৎ ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন ডলার দুই দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
সেফ হেভেন হিসেবে মার্কিন ডলারের সুবিধা থাকলেও ইতিমেধ্যেই চীনের দীর্ঘায়িত কোভিড ১৯ লকডাউনের ঝুঁকিতে ডলার অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছে। অজি এবং নিউজিল্যান্ড ডলারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কারেন্সি গুলোর প্রাইস ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে। অজি ও নিউজিল্যান্ড ডলারের প্রাইস কমার অন্যতম একটি কারণ হলো চীন অস্টেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের অনেক বড় ট্রেডিং পার্টনার।
মার্কিন ডলারের প্রাইস বেড়ে দুই দশকের সর্বোচ্চ ১০৪.৩৩-প্রাইসে অবস্থান করছে। ২০০২ সালের ডিসেম্বরের পরবর্তীতে যা সর্বোচ্চ প্রাইস। ২০০২ সালে মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ প্রাইস ছিল ১০৪.২২।
এপ্রিলে মার্কিন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) ৮.৩% এসেছে। CPI মার্চ মাসের থেকে কম আসলেও প্রত্যাশার থেকে বেড়েছে। যা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে।
বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকবে ১৫ জুন ও ২৭ জুলাই পরবর্তী ফেডারেল রিজার্ভের ডিসিশন। প্রতিটি পলিসিতে ফেড কমপক্ষে অর্ধ শতাংশ ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি করতে পারে।
অস্টেলিয়ার জাতীয় ব্যাংকের সিনিয়র কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্ট রদ্রিগো ক্যাট্রিল একটি নোটে বলেছেন, প্রত্যাশার থেকে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বেশি হওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভের ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধিতে উদ্বেগ বৃদ্ধি করবে। এদিকে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক দশকেরও বেমি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে নীতিগত ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি করতে পারে।
যা ইউরোর প্রাইস রিকভারে কিছুটা সহায়তা করলেও পুরোপুরি ব্যর্থ হবে কারণ একক কারেন্সি হিসেবে গত পাঁচ বছরেরও বেশি নিন্মে ইউরো নেমে এসেছে।
ফরেক্স এবং কিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং শিখতে বিডিপিপসের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্কাইব করুন
1 Comment
Recommended Comments