GBPUSD সাপ্তাহিক ফরেকাস্ট (০৯-১৩ মে, ২০২২)
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড/ফেডারেল রিজার্ভের ডাইভারজেন্স এবং মার্কিন নন- ফার্ম পেরোল প্রত্যাশার উপরে আসায় GBPUSD পেয়ারের বিয়ারিশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান ব্রিটিশ ভঙ্গুর ইকোনমি পাউন্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এর ফলে GBPUSD পেয়ার ২২ মাসের সর্বনিন্ম প্রাইসে নেমেছে। যাইহোক, বিনিয়োগকারীদের বর্তমান মনোযোগ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি এবং যুক্তরাজ্যের কোয়ার্টার জিডিপি রিপোর্টের দিকে। তবে পেয়ারটি টানা তৃতীয় সপ্তাহের মতো ডাউনট্রেন্ড অব্যাহত রেখেছে।
চীনে ক্রমাগত কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থার ফলে ব্রিটেনের সাথে ব্যবসায়িক কার্যকলার হ্রাস পাচ্ছে। যা পাউন্ডকে বিয়ারিশে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে মার্কিন ডলার মার্কেটের বুলিশ অবস্থান নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এ সপ্তাহে যা হতে পারে
মার্কেটের পরবর্তী মুভমেন্ট ব্রিটিশ মুদ্রাস্ফীতি রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। ব্রিটিশ জিডিপি রিপোর্ট পাউন্ডকে প্রভাবিত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ডার্স ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সভায় ক্যাথরিন মান এবং জোনাথন হাসকেলের সাথে ৫০-বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের রাজনীতিবিদ মাইকেল সন্ডার্স একটি বক্তৃতা দেবেন। তার বক্তৃতায় হকিশ আলোচনা আসলে পাউন্ডের প্রাইস কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস
GBPUSD পেয়ারের ডেইলি চার্টে পেয়ারের হতাশাজনক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। পেয়ারটি মূল এসএমএ- লাইনের নিচে অবস্থান করছে। ভলিউম ইনডিকেটর অনুযায়ী পেয়ারের বিয়ারিশের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। GBPUSD ১.২২৫০ প্রাইস অতিক্রমের পরবর্তীতে ১.২০৫০ প্রাইসে যেতে পারে। পেয়ারের বুলিশ রিভার্সেল হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।
ফরেক্স এবং কিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং শিখতে বিডিপিপসের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্কাইব করুন
0 Comments
Recommended Comments
There are no comments to display.