Search the Community
Showing results for tags 'ফরেক্স মার্কেট'.
Found 2 results
-
আপনার আশপাশে এখন যাদের ট্রেড করতে দেখছেন বা ভালো প্রফিটও করতে দেখছেন, কিছুদিন পরেই তাদের অধিকাংশকে আর ট্রেড করতে দেখবেন না। খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই তালিকায় আপনি নিজেও থাকবেন। কারণ, মার্কেট এত দিন রেঞ্জে ছিল, মুভমেন্ট হয়েছে কম. ট্রেড করার সুযোগও ছিল কম, লাভও হয়েছে কম। আর এ ধরনের রেঞ্জ বাউন্ড মার্কেটে ট্রেডাররা ফতুরও হোন কম। কিন্তু, এখন আবার মার্কেটে ভোলাটিলিটি ফিরে এসেছে বা মার্কেট মুভ করা শুরু করেছে। এ সময়েই ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশি ফতুর হন। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে, মার্কেট এখন ট্রেন্ডে। অনেক ট্রেডারই এতদিন দেখে এসেছেন যে, EUR/USD ১.১১-১.১৩ এর মধ্যেই আপডাউন করছে। কমলে আবার বাড়ছে, বাড়লে আবার কমছে। কিন্তু, ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের প্রাইস যে একবার কমতে শুরু করলে তা কমতেই থাকে আর বাড়তে শুরু করলে যে তা বাড়তেই থাকে, তার সাথে অনেক নতুন ট্রেডার এখনো পরিচিত হননি। EUR/USD হটাত এত দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তাই অনেকেই ভাবছেন, এখন কিনে রাখলে EUR/USD আবার আগের প্রাইসে ফেরত যাবে। EUR/USD অবশ্যই আবার ১.১৩ তে ফেরত যাবে, কিন্তু, তার আগে আরও ১০০০ পিপস নামবে কিনা বা আরো দুই বছর সময় লাগবে কিনা, তা কেউ বলতে পারেন না। সেক্ষেত্রে, আপনি যদি বাই ট্রেড দেন, কিন্তু স্টপ লস ব্যবহার না করেন, তাহলে নিজেকেই মস্ত বড় ঝুকির মধ্যে ফেলছেন আপনি। কেননা, EUR/USD যখন ১.৩৬০০ থেকে ১.২৯০০ তে নেমে আসে, তখন অনেকেই ভেবেছিল EUR/USD আবার ১.৩৬ এ ফেরত যাবে। তখন যারা স্টপ লস সেট না করে বাই দিয়েছিল, এখন তাদের অবস্থা ভাবুন? EUR/USD ১.২৯ থেকেও এখন ২১০০ পিপস কমে গেছে। ফরেক্স মার্কেটে প্রাইস কত নিচে নামার পর, আর তা কমবে না, সেটা বলা অসম্ভব। যে প্রাইসে EUR/USD কোনদিন নামবে না বলে আপনি মনে করছেন, তার থেকেও অনেক নিচে নেমে যেতে পারে EUR/USD এবং অনেকবার গিয়েছেও। তাই সাবধান হন এখনি। মার্কেট বর্তমান প্রাইস থেকে হয় আরো ৭০০-৮০০ পিপস বাড়বে বা কমবে। নিজেই ভাবুন, অনেক ট্রেডারই এখন EUR/USD বাড়বে বলে বাই দিয়ে বসে আছেন আর অনেকে হয়ত আরও কমবে এই আশায় সেল দিয়ে বসে আছেন। ধরুন এই দুই গ্রুপের কোন গ্রুপই স্টপ লস সেট করেনি। হয়ত সাময়িক বাড়া কমার কারণে এদের কেউ না কেউ প্রফিট পাবেন। কিন্তু, শেষমেষ মার্কেট কিন্তু ঠিকই ৭০০ পিপস উপরে বা নিচে যাবে, একসময় না একসময়। তার মানে এই দুই গ্রুপের কেউ না কেউ, ঠিকই ফতুর হয়ে যাবে। কিন্তু ,অপর গ্রপের ট্রেডাররাও কিন্তু বেশি একটা লাভ করতে পারবেন না কেন? কারন, কোন ট্রেডার কি ২০০ পিপস প্রফিট পাওয়ার পর তার ট্রেড আর খোলা রাখার সাহস পাবেন? নিশ্চয়ই না, কারণ মার্কেট কখন রিট্রেস করবে, এই ভয় তার মধ্যে কাজ করবে। কিন্তু, যিনি ২০০ পিপস লসে আছেন? ৫০ পিপস লসেই তার ট্রেড ক্লোজ করতে ভালো লাগেনি স্টপ লসে, এখন কি আর ভালো লাগবে? এখন তিনি ২০০ পিপস লসে, হয়তবা ব্যালেন্সের ২৫% ই মাইনাস হয়ে গিয়েছে। এই লস কাভার করতেও তার অন্তত ৪ টি ট্রেড জিততে হবে। তাই, এমতাবস্থায় আর সব ট্রেডারের মোট তিনিও চাইবেন, ট্রেড খোলা রেখে প্রার্থনা করতে যেন প্রাইস তার পক্ষে যায়। কিন্তু, মার্কেট তো ট্রেন্ডে, আরো কমারই কথা. প্রফেশনাল ট্রেডাররা খুশি হচ্ছে প্রত্যাশা মত দাম আরো কমায়। কিন্তু, তার তো বুক কাপছে, কারণ তিনি বিশাল লসে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে, প্রত্যাশা মতই মার্কেট আরও ৭০০ পিপস নিচে নেমে যাবে। প্রফেশনাল ট্রেডারগণ, যারা হয়ত একটি লস করেছিলেন, তারা ৫-৬ টি ট্রেডে জিতে তার থেকেও অনেক বেশি প্রফিট করবেন। আর তিনি শুধু একটি ট্রেডের লস ঠেকাতে গিয়েই ফতুর হয়ে গেলেন। মোটামুটি এভাবেই সবাই ফতুর হয়ে যায়। একবার বড় ধরনের লস করে ফেললে তার থেকে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। আর মার্কেট এখন ট্রেন্ডে বলে, খুব অল্প সময়েই বড় ধরনের মুভ করতে পারে এবং একটানা কমতে বা বাড়তে পারে। তাই, এমতাবস্থায় আপনার করনীয় হল: ১) প্রতি ট্রেডে অবশ্যই ৫% এর বেশি রিস্ক নিবেন না এবং অবশ্যই স্টপ লস ব্যবহার করবেন। ২) ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেড দিবেন না বা দিলেও খুব সাবধানতা অবলম্বন করবেন। ৩) সবসময় ট্রেন্ডের দিকে ট্রেড ওপেন করবেন, প্রাইস যখনই কোন সাপোর্ট বা রেজিস্টান্স ভেঙ্গে ফেলবে, তখনই সাথে সাথে সেল বা বাই দিবেন না, একটু অপেক্ষা করুন। দেখবেন, প্রাইস কমে সাপোর্ট ভেঙ্গে ফেলার পর আবার কিছুটা বেড়েছে, আপনি সেই প্রাইসে সেল দিন (ছোট স্টপ লস ও বড় টেক প্রফিট ব্যবহার করে, এ নিয়ে পরে শীঘ্রই আলোচনা করব )। যেহেতু, মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে, তাই আপনার জেতার সম্ভাবনাই বেশি। আর বড় টেক প্রফিট আর ছোট স্টপ লস ব্যবহার করে, ট্রেড জিতলে আপনার লাভ হবে, হারলে যা লস হত, তারও কয়েক গুন অথবা আরও বেশি। ৪) মনে রাখবেন, আপনি যদি প্রতি ট্রেডে ২-৫% এর বেশি রিস্ক না নেন, মার্কেটে যত ঝড়ই বয়ে যাক, আপনার কিচ্ছু হবে না. আর যেসব ট্রেডার স্টপ লস ব্যবহার করবেন না, তারাই ফতুর হবেন। এরকম ট্রেডার করা এবং কিভাবে তারা ফতুর হন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব পরের পোস্টে। আবারও বলছি, এটা নেহায়েত কোন সতর্কবাণী না, বহু দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা। তাই, সতর্ক হোন এখনি। বেশী লাভ করতে গিয়ে এমন লসের সম্মুখীন হবেন না, যাতে শেষমেষ ফতুরই হয়ে যেতে হয়। আগামী পোস্টঃ ফরেক্স মার্কেটে যেসব ট্রেডার ফতুর হবেনই হবেন
- 24 replies
-
- 13
-
-
- ফরেক্স মার্কেট
- ফরেক্স
-
(and 2 more)
Tagged with:
-
ইনবক্সে ধন্যবাদ জানিয়ে বেশ কয়েকজন মেসেজ দিয়েছেন, প্রেডিকশন অনুযায়ী মার্কেট মুভ করায়। আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। প্রেডিকশন হচ্ছে আগে থেকেই অনুমান করা করা, মার্কেটে কি হবে সামনে। তবে, আমরা কিন্তু কোন প্রেডিকশন দেই না। বরং জানিয়ে দেই, কি নিউজ এলে মার্কেটে তার ইমপ্যাক্ট কি হবে, কিভাবে ট্রেড করতে হবে এবং ফরেক্স মার্কেট বেশ কিছুদিন ধরেই একদম প্রত্যাশিতভাবে মুভ করছে। আর তাই আপনার মনে হচ্ছে প্রেডিকশন অনুসারেই ফরেক্স মার্কেট মুভ করছে। গতকালই বলা হয়েছিল, আর এজন্য নিউজদুটির ফলাফল প্রত্যাশামত আশাই যথেষ্ট ছিল। US ADP employment প্রত্যাশামতই এসেছে এবং ISM non-manufacturing (প্রত্যাশিত ৫৬.৬ এর বিপরীতে ৫৯.১) নিউজের ফলাফল এসেছে প্রত্যাশা থেকেও ভালো। এমনিতেই ডাউনট্রেন্ডে রয়েছে EUR/USD এবং এই নিউজগুলো ভালো আসায়, আর সাথে দ্রাঘির Dovish বক্তব্যের কারনে প্রত্যাশা অনুযায়ীই ত্বরানিত হয় EUR/USD এর পতন। মার্কেট ইতিমধ্যেই ১.০৮৯৬ ভেঙ্গে ফেলেছে কিন্তু ১.০৮৪৭ কিন্তু ঠিকই সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই, EUR/USD কমে ১.০৮৪ এ নেমে আসলেও, ১.০৮৪৭ সাপোর্ট ভাঙ্গতে পারেনি এখনও। বিগত তিন ঘন্টা ধরেই প্রাইস বার বার ১.০৮৪ এ গিয়ে সেখান থেকে আবার ফেরত আসছে। কিন্তু, এই সাপোর্ট বেশিক্ষণ টিকবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। আজ US Unemployment Claims রিপোর্ট প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসলে আরো দুর্বল হবে EUR/USD. সেক্ষেত্রে, পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ১.০৮০৮ (জুলাই মাসের সাপোর্ট)। আজ বৃহস্পতিবারের আরও গুরুত্বপূর্ণ নিউজঃ বিকেল ৫:৪৫ এ ECB (ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক) প্রধান মারিও দ্রাঘি মিলানে বক্তব্য রাখবেন। বুধবারে ফ্র্যাঙ্কফুটে তার বক্তব্যের পর এই বক্তব্যেও ইউরোর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যেতে পারে তার কাছ থেকে। সাধারণত তার বক্তব্য মার্কেটে ভালো আলোড়ন সৃষ্টি করে। সন্ধ্যা ৬টায় প্রকাশিত হবে UK Rate Decision সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড অক্টোবর মাসের মিটিংয়ে সুদের হার রেকর্ড নিম্ন ০.৫% এ নামিয়ে এনেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে ইউকের শ্রমবাজার টার্গেট ২% মুদ্রাস্ফীতিতে পৌঁছানোর মত অবস্থায় নেই, তাই ২০১৬ এর বসন্ত পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ১% এর নিচেই থাকবে। সুদের হার নির্ধারণ ছাড়াও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ত্রি-মাসিক মুদ্রাস্ফীতি বা ইনফ্লাশন রিপোর্টও প্রকাশ করবে। এছাড়া সুদের হার সংক্রান্ত ভোটের ফলও একই সময়ে প্রকাশিত হবে যা পূর্বের ন্যায় ১-০-৮ থাকবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬:৪৫ এ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কার্নে বক্তব্য রাখবেন। তার বক্তব্যে নতুন রুপরেখা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যেতে পারে। ফেডের হকিশ মনভাবের প্রেক্ষিতে মার্ক কার্নেও কি হকিশ মনভাব দেখাবেন এবং রেট বৃদ্ধি করবেন? পূর্বেও কার্নেকে লক্ষ্য করা গেছে ফেডের অ্যাকশনের জন্য অপেক্ষা করতে এবং তাদের পথ অনুসরন করতে। সন্ধ্যা ৭:৩০ এ প্রকাশিত হবে US Unemployment Claims রিপোর্ট। গত সপ্তাহে কি পরিমাণ জনগণ বেকার ভাতার সুবিধা নিয়েছে তা প্রকাশিত হয় এই ডাটার মাধ্যমে। গত সপ্তাহে তা ১০০০ বাড়লেও টানা ৩৪ সপ্তাহ ধরে এই সংখ্যা ৩০০,০০০ এর নিচে রয়েছে যা বর্তমানে আমেরিকার শ্রমবাজার যে যথেষ্ট শক্তিশালী সে কথাই নির্দেশ করে। এ সপ্তাহে ২৬৪,০০০ ফলাফল আশা করা হচ্ছে।
- 3 replies
-
- 7
-
-
- ফরেক্স
- ফরেক্স মার্কেট
- (and 7 more)